রাম দা হাতে ছাত্রদল ও যুবদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী। ছবি: সংগৃহীত
কুয়েটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর নারকীয় হামলা হয়েছে আজ। কারা হামলা করলো? এ নিয়ে এখন নানা কথা শোনা যাচ্ছে। ছাত্রদলের কথা উঠে আসভে বিভিন্ন মাধ্যমে। কিন্তু ছাত্রদল বেমালুম অস্বীকার করছে সেটা। বলছে, বরং তাদের ওপর শিবির হামলা করেছে এবং ছাত্রদের আহত করেছে। আবার কখনও বলছে, শিবিরের ওপর হামলা জায়েজ।
মূলতঃ কুয়েটের ঘটনায় যে আজ ছাত্রদল, যুবদল সরাসরি জড়িত ছিল এবং তারা যে ছদ্মনামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে তার অনেক প্রমাণ আছে। যেমনই একটি প্রমাণ তুলে ধরেছেন কুয়েটের এক সাধারণ শিক্ষার্থী। সেটাই তুলে ধরা হলো।
‘কুয়েটের বন্ধুদের সাথে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানলাম।
মূলত কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। এর আগেও বৈবিছাআ যখন তাদের কমিটি দেয় যেটার পর সিভিয়ার ব্যাকল্যাশের সম্মুখীন হয়।
এরপর ছাত্রদল একটা বুদ্ধিমানের কাজ করে। “ভয়েস অব কুয়েট” নামে একটা অর্গানাইজেশন তারা রেজিস্টার করে। যদিও তখন অনেকেই এটা নিয়ে কথা বলেছিল কিন্তু সেরকম প্রকাশ্য বিরোধীতা সামনে আসেনি। গতকাল এই ভয়েস অব কুয়েটের সদস্যরা কুয়েটে ছাত্রদলের ফর্ম বিতরণ করবে বলে জানা যায়।
এই ঘটনা নিয়ে আজকে কুয়েটের ছাত্ররা মিছিল করে। মিছিলের এক পর্যায়ে ভয়েস অব কুয়েট তথা ছাত্রদলের ১০-১৫ জন সদস্য সেখানে যায়। গিয়ে উস্কানিমূলক কথা বলতে থাকে। এ পর্যায়ে ছাত্ররা তাদের ধাওয়া দেয়। এসময় তাদের মধ্যে চারজন আহত হয়, আর বাকিরা গিয়ে বাইরে থেকে অস্ত্রধারীদের জরো করতে থাকে।
শিক্ষার্থীরা এসময় ভিসির কাছে গিয়ে অভিযোগ দেয় যেন কুয়েটের রুলস অনুযায়ী যেন ভয়েস অব কুয়েটের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। এবং তারা এটাও বলে যে শীঘ্রই হামলা হতে পারে। উনি যেন আর্মি-পুলিশ ডেকে ব্যাকাপ ম্যানেজ করেন। ভিসি তখন আশ্বস্ত করেন যে প্রশাসনিকভাবে তিনি ব্যাপারটা দেখছেন।
পরবর্তীতে বহিরাগতরা ধারালো অস্ত্র হাতে কুয়েটে আসে এবং ছাত্রদের উপর হামলা চালানো শুরু করে। প্রায় ৭০-৮০ জন কুয়েট শিক্ষার্থী আহত হয়ে কুয়েটের মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছে। এমনকি কুয়েটের প্রক্টরও হামলায় আহত হয়েছেন।
এদিকে হামলার শুরুর পরপর কয়েকজন আহতকে সাথে নিয়ে ভিসির সাথে যোগাযোগ করতে গেলে দেখা যায় উনি লাঞ্চ করছেন। তখনো তিনি পুলিশ বা আর্মি ডাকেননি। বরং প্রোভিসির মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করতে চান।
ভিসিকে বারবার বলা হয় যেন পুলিশ আর্মিকে জানান। উনি বলেন যে পুলিশ তার কল ধরে না। আর্মিকে জানানোর পর তারা বলেছিল ১০ মিনিটের মধ্যে আসবে। কিন্তু ২ ঘন্টায়ও তারা আসে নাই।
ভিসিকে বলা হয় তিনি যেন শিক্ষার্থীদের সাথে ঘটনাস্থলে যান। মাঝপথে তিনি যাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিলে শিক্ষার্থীরা তাকে ঘেরাও করে। এতে তিনি সেন্সলেস হয়ে যান।
পরবর্তীতে আর্মি আসলে তাদেরকে জিজ্ঞেস করার পর তারা জানায় যে আর্মিকে কলই করা হয় নাই। তারা এসেছে ভুক্তভোগীদের পরিবারের কলে। (এই ঘটনাটা সত্য নাকি আমাকে কনফার্ম করতে পারে নাই)
তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভিসির পার্মিশনের অভাবে আর্মি ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি।
মূলত মেইনস্ট্রিম মিডিয়াগুলো এই ঘটনাকে ‘সংঘর্ষ’, ‘শিবির ছাত্রদল মারামারি’, ‘বৈছাআর নেতৃত্বে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া” ইত্যাদি বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এটা পরিকল্পিত হামলা। আর নাহলে ‘ভয়েস অব কুয়েট’ নামক অর্গানাইজেশনের ব্যাকআপ দেয়ার জন্য বহিরাগত শত শত লোক রামদা, চাপাতি নিয়ে ক্যাম্পাসে আসতো না।’
রাম দা হাতে ছাত্রদল ও যুবদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী। ছবি: সংগৃহীত
কুয়েটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ওপর নারকীয় হামলা হয়েছে আজ। কারা হামলা করলো? এ নিয়ে এখন নানা কথা শোনা যাচ্ছে। ছাত্রদলের কথা উঠে আসভে বিভিন্ন মাধ্যমে। কিন্তু ছাত্রদল বেমালুম অস্বীকার করছে সেটা। বলছে, বরং তাদের ওপর শিবির হামলা করেছে এবং ছাত্রদের আহত করেছে। আবার কখনও বলছে, শিবিরের ওপর হামলা জায়েজ।
মূলতঃ কুয়েটের ঘটনায় যে আজ ছাত্রদল, যুবদল সরাসরি জড়িত ছিল এবং তারা যে ছদ্মনামে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে তার অনেক প্রমাণ আছে। যেমনই একটি প্রমাণ তুলে ধরেছেন কুয়েটের এক সাধারণ শিক্ষার্থী। সেটাই তুলে ধরা হলো।
‘কুয়েটের বন্ধুদের সাথে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানলাম।
মূলত কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। এর আগেও বৈবিছাআ যখন তাদের কমিটি দেয় যেটার পর সিভিয়ার ব্যাকল্যাশের সম্মুখীন হয়।
এরপর ছাত্রদল একটা বুদ্ধিমানের কাজ করে। “ভয়েস অব কুয়েট” নামে একটা অর্গানাইজেশন তারা রেজিস্টার করে। যদিও তখন অনেকেই এটা নিয়ে কথা বলেছিল কিন্তু সেরকম প্রকাশ্য বিরোধীতা সামনে আসেনি। গতকাল এই ভয়েস অব কুয়েটের সদস্যরা কুয়েটে ছাত্রদলের ফর্ম বিতরণ করবে বলে জানা যায়।
এই ঘটনা নিয়ে আজকে কুয়েটের ছাত্ররা মিছিল করে। মিছিলের এক পর্যায়ে ভয়েস অব কুয়েট তথা ছাত্রদলের ১০-১৫ জন সদস্য সেখানে যায়। গিয়ে উস্কানিমূলক কথা বলতে থাকে। এ পর্যায়ে ছাত্ররা তাদের ধাওয়া দেয়। এসময় তাদের মধ্যে চারজন আহত হয়, আর বাকিরা গিয়ে বাইরে থেকে অস্ত্রধারীদের জরো করতে থাকে।
শিক্ষার্থীরা এসময় ভিসির কাছে গিয়ে অভিযোগ দেয় যেন কুয়েটের রুলস অনুযায়ী যেন ভয়েস অব কুয়েটের সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়। এবং তারা এটাও বলে যে শীঘ্রই হামলা হতে পারে। উনি যেন আর্মি-পুলিশ ডেকে ব্যাকাপ ম্যানেজ করেন। ভিসি তখন আশ্বস্ত করেন যে প্রশাসনিকভাবে তিনি ব্যাপারটা দেখছেন।
পরবর্তীতে বহিরাগতরা ধারালো অস্ত্র হাতে কুয়েটে আসে এবং ছাত্রদের উপর হামলা চালানো শুরু করে। প্রায় ৭০-৮০ জন কুয়েট শিক্ষার্থী আহত হয়ে কুয়েটের মেডিক্যালে ভর্তি হয়েছে। এমনকি কুয়েটের প্রক্টরও হামলায় আহত হয়েছেন।
এদিকে হামলার শুরুর পরপর কয়েকজন আহতকে সাথে নিয়ে ভিসির সাথে যোগাযোগ করতে গেলে দেখা যায় উনি লাঞ্চ করছেন। তখনো তিনি পুলিশ বা আর্মি ডাকেননি। বরং প্রোভিসির মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করতে চান।
ভিসিকে বারবার বলা হয় যেন পুলিশ আর্মিকে জানান। উনি বলেন যে পুলিশ তার কল ধরে না। আর্মিকে জানানোর পর তারা বলেছিল ১০ মিনিটের মধ্যে আসবে। কিন্তু ২ ঘন্টায়ও তারা আসে নাই।
ভিসিকে বলা হয় তিনি যেন শিক্ষার্থীদের সাথে ঘটনাস্থলে যান। মাঝপথে তিনি যাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিলে শিক্ষার্থীরা তাকে ঘেরাও করে। এতে তিনি সেন্সলেস হয়ে যান।
পরবর্তীতে আর্মি আসলে তাদেরকে জিজ্ঞেস করার পর তারা জানায় যে আর্মিকে কলই করা হয় নাই। তারা এসেছে ভুক্তভোগীদের পরিবারের কলে। (এই ঘটনাটা সত্য নাকি আমাকে কনফার্ম করতে পারে নাই)
তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ভিসির পার্মিশনের অভাবে আর্মি ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি।
মূলত মেইনস্ট্রিম মিডিয়াগুলো এই ঘটনাকে ‘সংঘর্ষ’, ‘শিবির ছাত্রদল মারামারি’, ‘বৈছাআর নেতৃত্বে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া” ইত্যাদি বলা হচ্ছে। কিন্তু বাস্তবে এটা পরিকল্পিত হামলা। আর নাহলে ‘ভয়েস অব কুয়েট’ নামক অর্গানাইজেশনের ব্যাকআপ দেয়ার জন্য বহিরাগত শত শত লোক রামদা, চাপাতি নিয়ে ক্যাম্পাসে আসতো না।’