প্রিয় সরকার বাহাদুর,
জুলাই বিপ্লবে শুধু আওয়ামীলীগ-শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়নি, পরাজয় হয়েছে ভারতীয় আধিপত্যবাদেরও। যে কারণে আমরা ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিজয়কে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে অভিহিত করছি।
ভারতীয় আধিপত্যবাদ টিকিয়ে রাখতে স্বৈরাচার হাসিনা গণহত্যা চালিয়ে হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ নিয়েছে। ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে আহত করেছে। যাদের অধিকাংশই বাকি জীবনে আর স্বাভাবিক হতে পারবে কি না সন্দেহ। ফ্যাসিবাদী-স্বৈরাচারী সেই হাসিনাকে এখন আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে রেখেছে ভারত।
৫ আগস্টের পর বাংলাদেশকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে ভারতের নানাবিদ ভূমিকা আজ জাতির সামনে স্পষ্ট। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করেনি। নদীর বাধ খুলে দিয়ে বন্যায় ঢুবিয়েছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলকে। নানান ধরনের অস্থিরতা তৈরি করার পর অবশেষে তারা হাত দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে এখন বাংলাদেশ থেকে আলাদা করতে সবধরনের উস্কানি ও মদদ দিচ্ছে তারা।
সেই ভারতে কিসের ভিত্তিতে ৩০ লাখ কেজি (৩ হাজার টন) ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হলো? তা জাতির সামনে পরিস্কার করতে হবে বর্তমান সরকারকে।
হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি। শহীদের পরিবারগুলোতে হাহাকার থামেনি এখনও। বাবাহারা সন্তানদের চোখের পানিতে এখনও বুক ভাঙে যে কারো। সন্তানহারা মা-বাবার আহাজারি থামেনি। হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। হাজার হাজার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে।
জনাব সরকার বাহাদুর,
তাদের পাতে এক টুকরো ইলিশ তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করতে পেরেছেন? এ দেশের মানুষ তো বৈষম্যকে বিদায় জানানোর জন্য রাস্তায় নেমে এসে বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলো। কই তারা কিভাবে দিন গুজরান করছে, তার খোঁজ নিতে পেরেছেন? সেই বৈষম্যই তো জারি থাকলো এখনও পর্যন্ত। বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ কিনতে গেলে দাম চায় ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা। দেশের বাজারে ইলিশের দাম কমানোর ব্যবস্থা করতে পেরেছেন?
অথচ, সেই ভারতে পাঠানো হচ্ছে ৩০ লাখ কেজি ইলিশ! এই ভারতে ইলিশ পাঠানোর প্রতিবাদ করতে গিয়েই তো নিহত হতে হয়েছিলো বুয়েটের মেধাবি ছাত্র আবরার ফাহাদকে!
প্রিয় সরকার বাহাদুর
মনে রাখবেন শেখ হাসিনার ভারতপ্রীতি এ দেশের মানুষকে তার প্রতি বিক্ষুব্ধ করে তুলেছিলো। আপনারাও ভারতপ্রীতি দেখাতে যাবেন না। যেটুকু দেখিয়েছেন, এটা খুব খারাপ সঙ্কেত। ভারত আমাদের বন্ধু নয়, এটা বুঝতে যত দেরি করবেন, তত আপনাদের পরণতি ভয়াবহ হতে থাকবে। এরই মধ্যে ৩০ লাখ কেজি ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের মানুষের নৈতিক সমর্থন অর্ধেক হারিয়ে ফেলেছেন। বাকিটাও হারাবেন না।
প্রিয় সরকার বাহাদুর,
জুলাই বিপ্লবে শুধু আওয়ামীলীগ-শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়নি, পরাজয় হয়েছে ভারতীয় আধিপত্যবাদেরও। যে কারণে আমরা ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিজয়কে বাংলাদেশের দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলে অভিহিত করছি।
ভারতীয় আধিপত্যবাদ টিকিয়ে রাখতে স্বৈরাচার হাসিনা গণহত্যা চালিয়ে হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ নিয়েছে। ৩০ হাজারের বেশি মানুষকে আহত করেছে। যাদের অধিকাংশই বাকি জীবনে আর স্বাভাবিক হতে পারবে কি না সন্দেহ। ফ্যাসিবাদী-স্বৈরাচারী সেই হাসিনাকে এখন আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে রেখেছে ভারত।
৫ আগস্টের পর বাংলাদেশকে ব্যর্থ প্রমাণ করতে ভারতের নানাবিদ ভূমিকা আজ জাতির সামনে স্পষ্ট। সীমান্ত হত্যা বন্ধ করেনি। নদীর বাধ খুলে দিয়ে বন্যায় ঢুবিয়েছে দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলকে। নানান ধরনের অস্থিরতা তৈরি করার পর অবশেষে তারা হাত দিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামে। পার্বত্য চট্টগ্রামকে এখন বাংলাদেশ থেকে আলাদা করতে সবধরনের উস্কানি ও মদদ দিচ্ছে তারা।
সেই ভারতে কিসের ভিত্তিতে ৩০ লাখ কেজি (৩ হাজার টন) ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হলো? তা জাতির সামনে পরিস্কার করতে হবে বর্তমান সরকারকে।
হাজারো ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ এখনও শুকায়নি। শহীদের পরিবারগুলোতে হাহাকার থামেনি এখনও। বাবাহারা সন্তানদের চোখের পানিতে এখনও বুক ভাঙে যে কারো। সন্তানহারা মা-বাবার আহাজারি থামেনি। হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। হাজার হাজার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে।
জনাব সরকার বাহাদুর,
তাদের পাতে এক টুকরো ইলিশ তুলে দেয়ার ব্যবস্থা করতে পেরেছেন? এ দেশের মানুষ তো বৈষম্যকে বিদায় জানানোর জন্য রাস্তায় নেমে এসে বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছিলো। কই তারা কিভাবে দিন গুজরান করছে, তার খোঁজ নিতে পেরেছেন? সেই বৈষম্যই তো জারি থাকলো এখনও পর্যন্ত। বাজারে এক কেজি ওজনের ইলিশ কিনতে গেলে দাম চায় ১৬০০ থেকে ১৮০০ টাকা। দেশের বাজারে ইলিশের দাম কমানোর ব্যবস্থা করতে পেরেছেন?
অথচ, সেই ভারতে পাঠানো হচ্ছে ৩০ লাখ কেজি ইলিশ! এই ভারতে ইলিশ পাঠানোর প্রতিবাদ করতে গিয়েই তো নিহত হতে হয়েছিলো বুয়েটের মেধাবি ছাত্র আবরার ফাহাদকে!
প্রিয় সরকার বাহাদুর
মনে রাখবেন শেখ হাসিনার ভারতপ্রীতি এ দেশের মানুষকে তার প্রতি বিক্ষুব্ধ করে তুলেছিলো। আপনারাও ভারতপ্রীতি দেখাতে যাবেন না। যেটুকু দেখিয়েছেন, এটা খুব খারাপ সঙ্কেত। ভারত আমাদের বন্ধু নয়, এটা বুঝতে যত দেরি করবেন, তত আপনাদের পরণতি ভয়াবহ হতে থাকবে। এরই মধ্যে ৩০ লাখ কেজি ইলিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে দেশের মানুষের নৈতিক সমর্থন অর্ধেক হারিয়ে ফেলেছেন। বাকিটাও হারাবেন না।